একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কুড়িগ্রাম জেলারমুক্তাঞ্চল রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণেব্যবহৃত ডামি রাইফেল, লাঠি, টার্গেটপ্র্যাকটিসের চানমারী ও হাতেলেখা সাইক্লোস্টাইল মেশিনে মুদ্রিত পত্রিকার কপি সংরক্ষণের অভাবে অযত্নে পড়ে আছে রৌমারীরসি জি জামান হাই স্কুলের একটি বদ্ধ কক্ষে । একাত্তরে রৌমারী সি জি জামান হাই স্কুল ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা কার্যক্রম ও সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নেওয়ার অন্যতম সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প । ওই সময়ে এ ক্যাম্প থেকেই প্রায় ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নেন। 'প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দুইদিন পর ২৮ মার্চ ১১ নম্বর সেক্টরের সুবেদার আফতাব উদ্দিন রৌমারী সি জি জামান হাইস্কুলকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হিসেবে উদ্বোধন করেন। সেই থেকে স্কুলটিতে শুরু হয় সামরিক প্রশিক্ষণ। পরবর্তী সময়ে এ ক্যাম্পই হয়ে ওঠে রৌমারীর সবচেয়ে বড় সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। পরে টাপুরচর স্কুল, দাতভাঙ্গা স্কুল, যাদুরচর স্কুল ও রাজীবপুর হাইস্কুলে ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়। এক্যাম্প গুলোর দায়িত্বে ছিলেন লে. কর্নেল এস আই এম নূরুন্নবী খান। পরে ব্রিগেড কমান্ডার জিয়াউর রহমান (মেজরজিয়া) জেডফোর্স ও তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কমান্ডিং অফিসার মেজর শাফায়াত জামিল এসে প্রশিক্ষণ তদারকি করে মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শ দিতেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ঈমান, দেশাত্ববোধ, দৃঢ়মনোবল ও সামান্য অস্ত্র সম্বল করে অসম সাহসিকতার সাথে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মূখ লড়াইয়ে আত্নোৎসর্গকৃতগণের তালিকা:
১। শহীদ আবু আসাদ
২। শহীদ আবুল হোসেন
৩। শহীদ আব্দুল হামিদ
৪। শহীদ আব্দুল লতিফ
৫। শহীদ আব্দুল মজিদ
৬। শহীদ আব্দুল বারী
৭। শহীদ বদীউজ্জামান
৮। শহীদ খন্দকার আব্দুল আজিজ
৯। শহীদ শহীবর রহমান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস